সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক::প্রায় দুই মাস পর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। লাঠি হাতে ধীরে ধীরে সিড়ি বেয়ে তিন তলার নিজের দফতরে বসেন রিজভী।
এসময় তিনি কুশল বিনিময় করেন অফিসের কর্মীদের সাথে। তাদের শারীরিক অবস্থা, পরিবারের খোঁজ-খবর নেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছি। রিং পরানোর পর আমাকে অনেক সর্তকতার সাথে চলতে হচ্ছে। যেটা আগে কখনোই আমি করিনি। এই করোনাকালে কত জায়গায় আমি মানুষের কাছাকাছি গিয়েছি তার কোনো হিসাব নেই।’
প্রতিদিন আসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন অফিসে আসার চেষ্টা করবো যদি শরীরটা এরকম ভালো থাকে।’
রিজভী বলেন, ‘মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামীনের রহমতে আমি সুস্থ হয়েছি। আমার সুস্থতার জন্য দেশে-বিদেশে কর্মী-সমর্থকসহ দেশবাসী দোয়া করেছেন, মিলাদ পড়েছেন, রোজা রেখেছেন, প্রার্থনা করেছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সুস্থ রাখুন, হেফাজতে রাখুন।’
এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম ও শ্যালিকা তাহমিনা বেগমের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর থেকে রিজভী অন্য একটি বাসায় আছেন।
রিজভী জানান, তার স্ত্রী ও শ্যালিকা সুস্থ আছেন, তেমন কোনো উপসর্গ নেই। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন তারা।
প্রসঙ্গত, অসুস্থ হওয়ার আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব নয়াপল্টনে অফিস করেন গত ১২ অক্টোবর। পরদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক দলের মানববন্ধন শেষে গাড়িতে উঠার পর রিজভী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাকে নেয়া হয় কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে। পরে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ১৫ অক্টোবর এই হাসপাতালে তার এনজিওগ্রাম করা হয়। তাতে হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়লে ইনজেকশন দিয়ে সেটির ৪০ শতাংশ অপসারণ করা হয়। ১৩ দিন ল্যাবএইড হাসপাতালে থাকার পর ২৮ অক্টোবর ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেন।
পরে ফলোআপ করাতে গত ১৭ নভেম্বর আবার ল্যাবএইডে ভর্তি হন রিজভী। সেখানে ২১ নভেম্বর তার হৃদযন্ত্রে রিং পরানো হয়। ২৪ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদপুরের বাসায় ফেরেন তিনি। আজ ৫৯ দিন পর কার্যালয়ে এলেন রিজভী।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর